চিয়া বীজের  চাষ:

            CHIA  SEED —     Salvia Hispanica L.

সালভিয়াহিস্পানিকাএল., চিয়া নামেওপরিচিত, একটি বার্ষিক ভেষজ উদ্ভিদ,

মূলতদক্ষিণমেক্সিকোএবংউত্তরগুয়াতেমালাথেকে।এটি Lamiales, মিন্টফ্যামিলি Labiate, subfamily Nepetoideae,

এবং Genus Salvia এরঅন্তর্গত। চিয়া আজ শুধু মাত্র মেক্সিকো এবং গুয়াতেমালায় চাষ করা হয় না, তবে

অস্ট্রেলিয়া, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনা, আমেরিকাএবংইউরোপে  ও   ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় চাষ

করা হয়। বর্তমানে, মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম চিয়া উৎপাদনকারী হিসাবে স্বীকৃত |

চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ——-

চিয়া বীজ হল প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবারের উৎস এগুলি প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্স এবং এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে

1kg চিয়াবীজে 6% জল, 34% চর্বি, 46% কার্বোহাইড্রেট (যার 83% ফাইবার), এবং 19% প্রোটিনথাকে |

  1.   চিয়া বীজ    নিয়মিত   খেলে   রক্তে   ভালো হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়  |
  2. এটি হৃদরোগের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী
  3. ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে
  4. এগুলি প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা তরুণদের উজ্জ্বল ত্বকে উন্নীত করে চিয়া বীজ ত্বকের ক্ষতি রোধ করে এবং পরিষ্কার ত্বকের উপস্থিতিকে প্রচার করে
  5. চিয়া বীজে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং শক্তি বৃদ্ধি করে চিয়া বীজে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা শক্তিশালী হাড়ের চিত্তাকর্ষক উদ্দীপক
  6. এগুলি হজমের উন্নতি করে
  7. এক টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে 5 গ্রাম ফাইবার, এবং তাদের ব্যাপক মাত্রায় আলফালিনোলিক এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড তাদের ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে

চিয়া বীজের চাষ :

আমাদের দেশে কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই কৃষক ভাইদের সাহায্যে শুভরাজ এগ্রো সব সময় এগিয়ে আছে  ,   যাতে তাদের আয় বাড়তে পারে।  এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী কৃষি থেকে অর্থকরী ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।  দেশে ঔষধি ফসলের  গুণাগুণের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর  এই চাষে খরচ অনেক কম এবং বাজারে চাহিদাও বেশি।  কৃষকদের সুবিধার জন্য এই চাষ একটি ভাল বিকল্প।

এটি অনেকটা তিল জাতীয় উদ্ভিদের মতো। ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার এ উদ্ভিদের প্রায় ১৩ ইঞ্চি ঊর্ধ্বাংশ বীজের ভারে নুইয়ে পড়ে।

জলবায়ু  ——-

অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে রবি মৌসুমে এ ফসল রোপণ করা হয় । এর চাষের জন্য একটি হালকা শীতল জলবায়ু প্রয়োজন।

3 থেকে সারে 3 মাসের ফসল তাই সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি রোপন করে মার্চ পর্যন্ত 2বার ফলন নিতে পারেন কিন্তু প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার ফলন একটু কম পেতে পারেন।

চিয়া সীড চাষ করলে আপনার জমির উর্বরতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে তার ফলে এর পর ওই জমিতে অন্য ফসল চাষ করেও আপনি প্রচুর বেশি ফলন পাবেন ।

খামার প্রস্তুতি —-

জমি

 চিয়া বীজ সব ধরনের মাটিতে জন্মানো যায়।  তবে ভাল নিষ্কাশন সহ হালকা ভঙ্গুর এবং বেলে মাটি বা বেলে দোআঁশ  মাটি এর চাষের জন্য উপযুক্ত

প্রচুর পরিমাণে চিয়া বীজ উৎপাদনের জন্য জমিকে ভালো ভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন।  যে কোনো ধরনের মাটিতে যেখানে জল জমে থাকেনা সেই ধরণের মাটিকে ১-২ বার রোটাভেটার দিয়ে ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে। যদি সম্ভব হয় বিঘাপ্রতি ১টন গোবর সার ব্যবহার করলে ভালো হবে। 

চিয়া বীজ সংগ্রহ করে , সেই বীজ গুলো কে রোদ্রে দিতে হবে প্রায় ৫ ঘন্টার জন্য। তারপর চাষের জন্য প্রস্তুত হওয়া জমিতে চিয়াবীজকে বিঘা প্রতি ১কেজি হিসাবে ছিটিয়ে দিতে হবে । বীজ ছিটিয়ে দেওয়ার পর হালকা পরিমানে জল দিয়ে জমি সেচ করে -দিতেহবে , জমিতে আগে থেকে রস থাকলে সেচ করার প্রয়োজন হবে নতিন থেকে চার দিনের মধ্যে বীজ এর অঙ্কুর হয়ে যাবে । চিয়া গাছের বয়স ৩০ দিন হলে তখন মাটির আদ্রতা দেখে একবার সেচ দিয়ে ইউরিয়া বা অন্যান্য সার দেওয়া যেতে পারে |

  • তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বীজ এর অঙ্কুর হয়ে যাবেচিয়া গাছের বয়স ৩০ দিন হলে তখন মাটির আদ্রতা দেখে একবার সেচ দিয়ে ইউরিয়া বা অন্যান্য সার দেওয়া যেতে পারে |
  • আগাছা নিয়ন্ত্রণ

চিয়া বীজের ফসল পেতে এবং মাঠকে আগাছা মুক্ত রাখতে একবার বা দুবার  নিড়ানি দেওয়ার  প্রয়োজন হয়।  প্রতি 30 দিন অন্তর অন্তর আগাছা পরিষ্কার করা উচিত।  প্রথম  নিড়ানি দেওয়ার সময়, অতিরিক্ত গাছগুলি সরিয়ে ফেলুন।

গাছের বয়স ৫০দিন হলে তখন বেগুনি   বা সাদা ফুলের সাথে গাছে ফল আসবে ।

ফসল কাটা —–

 চিয়া বীজের ফসল প্রায় 100-115 দিনের মধ্যে তৈরি হয়, ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত ফসল পুরো গাছ থেকে উপড়ে ফেলা হয় এবং 5-6 দিনের জন্য শুকানোর জন্য শস্যাগারে রাখা হয়।  শুকানোর পর মেশিনে থ্রেসার বের করা হয়।  ( সরষে বা তিল চাষের মত করে)।

Chia farming  Per acre calculation- duration time – 100 to  110  days .

# Type of sowing – broadcast

# Seed required – 3 kg in 1 Acre.  (1 bigha – 1 kg seed )

# Suitable Soil – All kind of soil ( বেলে মাটি বা বেলে দোআঁশ  মাটি এর চাষের জন্য  ভাল | )

# Soil P.H –   6 – 7.5

# Suitable Weather – Suitable in West Bengal    weather (অক্টোবর নভেম্বর মাসে রবি মৌসুমে ফসল রোপণ করা হয়এর চাষের জন্য একটি হালকা শীতল জলবায়ু প্রয়োজন।)

# Suitable temperature –  10 – 40

# Irrigation required – Depending on soil moisture  ( normally 20 days interval)

# Sowing time – October to December

Farming Cost – ⬇️ per Acre —— (এক একরে )

Plough       = 1500/- ( এক একর জমি চাষ দিতে খরচ  )

Seed – 3 kg  = 1000×3 kg =  3000/- (এক একরে )

Fertilizer ( সার ) = 1500 /- ( এক একরে ) ( যদি সম্ভব হয় বিঘা প্রতি ১ টন গোবর সার ব্যবহার করলে ভালো হবে।  )

Irrigation.( সেচ ) = 1500/-  ( এক একরে )

Labour.       = 4500/-   ( এক একরে )

————————————————————

Total farming cost =. ₹12000/- per acre

# Harvesting Time ( ফসল তোলার  সময় ) – 100 to 110    days  after sowing ( বীজ বপনের 100 থেকে 110 দিন  এর পর থেকে )

# Production( ফলন প্রতি একরে )  per acre – 600 kg per acre

# Collected part of plant – Seed

# price per kg –   90 per kg ( dry seed)

💵 Return Amount = 600× 90=  54000/-

💶 Profit amount = 54000-15000/- =   39000/- in  100 to 110  days —————–

REMEMBER – The Farmer’s eye is the best fertilizer.

Wish you  a very happy and safe farming ,  from SUVORAJ AGRO PVT.LTD.

Leave a Reply